Description
নালিথা চা-বাগান বেশ কয়েক বছর ধরেই লসে যাচ্ছিল। লসের কারণ জানার জন্য বাগানের মালিক রায়হান চৌধুরী লন্ডন থেকে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশে আসার পরেই তিনি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। দীর্ঘ আট বছরেও তার কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি। রায়হান চৌধুরীর স্ত্রী রুমা চৌধুরী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাগানটা বেচে দেওয়ার। তাদের একমাত্র সন্তান কাব্য চায়, বাগানটা বিক্রি করার আগে শেষ একবার চেষ্টা করে দেখবে সে। তাই মায়ের অমত থাকা সত্ত্বেও চলে আসে বাংলাদেশে। কেউ যেন তাকে চিনতে না পারে, সেজন্য আসিফ ছদ্মনামে আসে সে। বাংলাদেশে আসার পর থেকেই একের পর এক ঘটতে থাকে রহস্যময় কাণ্ড।
গভীর রাতে তার বাংলোতে শোনা যায় ফিসফাস শব্দ। দামি ব্র্যান্ডের সিগারেটের টুকরো পড়ে থাকে তার বাংলোর বারান্দায়। চা-বাগানের কে এত দামি ব্র্যান্ডের সিগারেট খায়?
মাঝে মাঝেই গভীর রাতে শোনা যায় নালিথার কান্না। ভয়ে সবাই ঘরে সিটকিনি দিয়ে ঘুমিয়ে যায় সকাল সকাল।
শতবর্ষের পুরোনো নালিথার ভাঙাচোরা কুঠিরে গভীর রাতে দেখা যায় আলো। ওটা নালিথার আত্মা। তাই নালিথার আত্মার ভয়ে কেউ ভুলেও ওদিকটা মাড়ায় না কখনো।
নালিথা যেন চা-বাগানের কাউকে কোনো বিপদে না ফেলে, সেজন্য প্রতি বছর উৎসব করে নালিথার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয় ভোগ। ঝিলের ধারে, বটগাছের নীচে সেই উৎসবে কাব্য চুরি করে দেখে এক নীল পরিকে। খুব ইচ্ছা তার, একদিন চা-বাগানের এই মোহনীয় রাস্তায় নীল পরির হাত ধরে হাঁটবে সে।
কিন্তু একদিন সন্ধ্যায় সত্যি সত্যিই নালিথা আর স্টিফেনবাবুর আত্মার সম্মুখীন হয় কাব্য। বেঁচে ফিরতে পারবে কি কাব্য?
Reviews
There are no reviews yet.